বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন-এ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


 

লিসবন,  ডিসেম্বর ২০২৩  

বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিগণ, গণমাধ্যম কর্মীগণ, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশ গ্রহণ করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের -এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। করেন। অতঃপর, শহীদ বুদ্ধিজীবি, জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর ‘ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। তারপর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ।

রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ তার বক্তব্যে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাঁদের নির্যাতনের পর হত্যা করে। আর এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছিল দেশীয় দোসররা। পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দেশের মুক্তির জন্য রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।


পরিশেষে, তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং  তাদেরকে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।