ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্যাবলী



সম্মানিত প্রবাসীগণকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানানো যাচ্ছে যে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩ তারিখে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছে। দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট ইস্যু/রিইস্যুর জন্য নিম্নবর্ণিত নিয়ামাবলী অনুসরণ করতে প্রবাসীগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছেঃ

১।       যাদের ই-পাসপোর্ট হারিয়ে গিয়েছে অথবা মেয়াদ উত্তীর্ন হয়েছে তারা ই-পাসপোর্ট রি- ইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারবেন। উল্লেখ্য যে, দূতাবাসে এমআরপি পাসপোর্ট নবায়নও চলমান থাকবে।

২।       বর্তমানে যাদের পুরাতন হাতে লেখা পাসপোর্ট আছে এবং কোন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) নেই, তারাও ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীকে মূল এনআইডি কার্ড (Original Copy) প্রদর্শন করতে হবে  অথবা ১৭ ডিজিটের অনলাইন নিবন্ধিত জন্ম সনদের ইংরেজী ভার্সনের মূলকপি প্রদর্শন করতে হবে।

৩।       ই-পাসপোর্ট ইস্যু অথবা রিইস্যু আবেদনের জন্য সকল আবেদনকারীকে epplisbon@gmail.com ইমেইলের মাধ্যমে Appointment এর জন্য অনুরোধ করতে হবে। উক্ত ইমেইলে আবেদনকারীর নাম, মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর এবং পাসপোর্টের ছায়ালিপি সংযুক্ত করতে হবে। পরবর্তীতে দূতাবাস থেকে আবেদনকারীকে ইমেইল অথবা মোবাইল নম্বরে কল করে তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। নির্ধারিত তারিখ ব্যাতিত কোন প্রকার আবেদন গ্রহণ করা হবে না।  এমআরপি থেকে এমআরপি পাসপোর্ট নবানয়নের জন্য কোন এপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন নেই।

৪।       জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version)  অনুযায়ী

আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে যাদের (NID) নেই, তাদের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য ।

৫।       ই-পাসপোর্ট ইস্যু অথবা রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে https://www.epassport.gov.bd/ ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। আবেদন সম্পন্ন হলেঃ

ক) উক্ত আবেদনের প্রিন্টকপি (বারকোডসহ) খ) পুরনো পাসপোর্টের ফটোকপি গ) পুরাতন পাসপোর্ট, পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডির কপি ঘ) পাসপোর্ট Damage বা ব্যবহারের অনুপযোগী হলে উক্ত ক্ষতিগ্রস্ত পাসপোর্ট ঙ) জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম সনদসহ (মূল কপি) দূতাবাসে এসে ফি জমা দিয়ে পাসপোর্ট ইস্যু/ রি-ইস্যুর আবেদন জমা দেয়া যাবে। -পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স ০৬ বছরের কম হলে আবেদনকারীকে 3R (3.5 inches X 5 inches) সাইজের ল্যাবে প্রিন্ট করা White ব্যাকগ্রাউন্ডের (০১একটি ছবি সঙ্গে করে দূতাবাসে নিয়ে আসতে হবে।

৬।      ১৮ বছরের কম বয়সী আবেদনকারীর ই-পাসপোর্ট ফর্ম পূরণের সময় পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এবং পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ছায়ালিপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

৭।       আবেদনকারীকে -পাসপোর্ট ফর্ম পূরণের সময় অবশ্যই বর্তমান ঠিকানা হিসেবে পর্তুগালের ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ভুল হলে আবেদনপত্রটি অত্র দূতাবাসের নিয়ন্ত্রনে থাকবে না। উদাহরনস্বরূপ বলা যায়ঃ যদি কোন আবেদনকারী অনলাইনে ই-পাসপোর্ট ফর্ম পূরণের সময় ভুল করে বর্তমান ঠিকানা  লিসবন, পর্তুগালের পরিবর্তে অন্যকোন স্থান উল্লেখ করে তাহলে আবেদনপত্রটি উক্ত স্থানের স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে চলে যাবে।  সেক্ষেত্রে আবেদনকারী অনেক জটিলতার সম্মুখীন হবেন। তাই আবেদনকারীকে সতর্কতার সাথে আবেদনপত্র পূরণের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

 ৮।      ১৮ বছরের নিম্নে এবং ৬৫ বছরের ‍উর্ধ্বে সকল আবেদনেকারীর ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।

৯।       প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করা যাবে। সেক্ষেত্রে এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সনদ প্রদান করতে হবে।

১০।    পাসপোর্টে স্ত্রীর নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে নিকাহনামা (কাবিননামা) এবং পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমানক দাখিল করতে হবে। (যেমনঃ তালাকনামা, মৃত্যু সনদ, নিকাহনামা এবং ব্যাক্তি যদি একই থাকে সেক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর নাম পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক একই ব্যাক্তির অনুকূলে প্রত্যয়ন পত্র থাকতে হবে)।

 ১১।      নিম্নে ই-পাসপোর্ট ইস্যু/রি-ইস্যুর ফি তালিকা প্রদান করা হলোঃ

-পাসপোর্টের ইস্যু/রি-ইস্যুর ফির তালিকা

ক্রমিক নং

পাসপোর্টর পৃষ্ঠা সংখ্যা

মেয়াদ

ফি’র পরিমান

মন্তব্য

৪৮

০৫ বছর

১১০ ইউরো


৪৮

১০ বছর

১৪০ ইউরো


৬৪

০৫ বছর

১৬৫ ইউরো


৬৪

১০ বছর

১৯৫ ইউরো


৪৮

১০ বছর

৫৫ ইউরো

পর্তুগালে বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী


সংশ্লিষ্ট মেয়াদযুক্ত প্রমানক দাখিল করতে হবে

ই-পাসপোর্টের কার্যক্রমসহ দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।