বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন-এ“মহান বিজয় দিবস-২০২৩” উদযাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি


লিসবনশনিবার১৬ ডিসেম্বর ২০২৩


বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন, যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে আজ (১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে) দূতাবাস প্রাঙ্গনে ৫২ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। এ লক্ষ্যে দূতাবাস দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ব্যানার, পোস্টার, বেলুন, ফেস্টুন এবং রঙিন আলোকসজ্জায় দূতাবাসকে বর্নিল সাজে সজ্জিত করা হয়। সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।

০২।       বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশীগণ রঙিন পোশাক পরিধান করে অংশগ্রহণ করেন। দূতাবাসে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু করেন। প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও কর্মীগণও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

০৩।       রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ  দূতাবাসে আয়োজিত বিজয় মেলার স্টল উদ্বোধন করেন। উক্ত স্টল সমূহে প্রবাসী বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তাগন বিভিন্ন রকমের পিঠা, খাদ্য-সামগ্রী ও ও হস্তশিল্পের প্রদর্শন করেন।  প্রবাসী বাংলাদেশী ছাড়াও অনেক বিদেশী নাগরিক বিজয় মেলার স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তারপর, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।

০৪।       মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় বক্তাগণ বাঙালীদের জীবনে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব রেজিনা আহমেদ তাঁর সমাপনী বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ, বীরাঙ্গনা এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি সকল প্রবাসীদের আহবান জানান যে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা বিনির্মাণে দেশে বিদেশে সকলকে যার যার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। তিনি সকলকে  বৈধভাবে রিমিটেন্স প্রেরণের জন্যও অনুরোধ জানান।

০৫।       আলোচনা পর্বের শেষে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মোনাজাত করা হয়।

০৬।       বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাসে প্রবাসী শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসী শিল্পীগণের অংশগ্রহণে গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশিত হয় যা দর্শকদের বিমোহিত করে। তাছাড়া, বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশনা দর্শকের মাঝে মুক্তি সংগ্রামের আবহ সৃষ্টি করে।পরিশেষে, মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব রেজিনা আহমেদ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

০৭।       অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগনকে দেশীয় খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।