সকল আন্তর্জাতিক ভ্রমণার্থীদের বাংলাদেশে আগমন ও বহিঃগমনের জন্য করনীয়ঃ
১। যারা ফুল ডোজ (১/২/৩, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) WHO কর্তৃক অনুমোদিত কোভিড-১৯ এর টিকা নিয়েছেন, তারা টিকা সনদ ( ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট) দেখিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তাদের RT PCR Test প্রয়োজন নেই।
২। যাদের সম্পুর্ণ ডোজ টিকা গ্রহন সম্পন্ন হয়নি তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য RT PCR কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট (৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষাকৃত) দেখাতে হবে।
[ সম্মানিত যাত্রীদের, ভিসা পাওয়ার পরেও; যাত্রা শুরু করার আগে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে এবং পুরো রুটে ভ্রমণ সংক্রান্ত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে]
বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য পর্তুগাল সহ সকল দেশের নাগরিকদের প্রয়োজনীয় ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। যদিও যদিও পর্তুগিজ পাসপোর্টধারীদের জন্য শর্তানুযায়ী এয়ারপোর্টে আগমনী ভিসা (Visa on arrival) দেবার প্রচলন ছিল, কিন্তু বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এয়ারপোর্টে আগমনী ভিসা নেবার সুযোগ রয়েছে। ভ্রমণের সুবিধার্থে সকলকে বাংলাদেশে প্রবেশের পূর্বেই প্রয়োজনীয় ভিসা সংগ্রহ করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।
যদিও ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন করার জন্য কোন নির্দিষ্ট সমইয়সীমা নেই, কিন্তু এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট ধরণের ভিসা ইস্যু করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়, এবং সেক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগতে পারে।
আবেদনকারী ডাকযোগে ভিসার আবেদপত্র এবং প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র পাঠাতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে, আবেদনকারীকে পোস্টাল চেকের মাধ্যমে দূতাবাসের ঠিকানায় অ-ফেরতযোগ্য ভিসা প্রসেসিং ফি পাঠাতে হবে। আবেদনকারী যদি রিটার্ন পোস্টের মাধ্যমে পাসপোর্টটি ফেরত পেতে চান তাহলে তাঁকে নিজের ঠিকানা সহ একটি ফেরতখাম এবং ডাকমাশুল বাবদ ০৪ ইউরো পোস্টাল চেক এর মাধ্যমে দূতাবাসের ঠিকানায় পাঠাতে হবে। ভিসা ফি এবং পোস্টাল ফি একসাথে একটি চেকের মাধ্যমে পাঠানো যাবে।
বি.দ্রঃ নির্দিষ্ট কিছু ভিসা আবেদনের জন্য আবেদনকারীর স্বশরীরে দূতাবাসে উপস্থিত হবার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ভিসা প্রসেসিং এর জন্য দূতাবাসের কোনো এজেন্ট নেই বা যেকোন কনস্যুলার সেবা পাবার জন্য কোন এজেন্ট এর সরণাপন্ন হবার প্রয়োজন নেই। সেবাপ্রার্থীদের সব ধরনের সেবার জন্য সরাসরি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দূতাবাস শুধুমাত্র পর্তুগাল, গিনি বিসাউ, কেপ ভার্দে এবং মোজাম্বিকের পাসপোর্টধারীদের ভিসা আবেদন গ্রহণ করে থাকে। অন্য কোনো দেশের পাসপোর্টধারী নাগরিক এই দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন, শুধুমাত্র যদি তাদের পর্তুগালের আবাসিক ভিসা (রেসিডেন্ট কার্ড) থাকে।
ভিসা আবেদন এর নিয়মাবলীঃ
ভিসা আবেদনের জন্য সাধারন কাগজপত্রঃ
ভিসা ফিঃ
পর্তুগিজ পাসপোর্টধারী নাগরিকদের জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি- ৩০ ইউরো, মাল্টিপল এন্ট্রি -৯০ ইউরো, নো ভিসা রিকয়ার্ড- ৫০ ইউরো
দূতাবাস কন্স্যুলার কাউন্টারের সময়সূচী (শুধু কর্মদিবসে):
ভিসা ইস্যু করার সর্বনিম্ন সময়সীমাঃ ০৭ কর্মদিবস
ডাকযোগে সেবাগ্রহণ:
ডাকযোগে সেবা গ্রহণের লক্ষ্যে একটি ফেরতখাম সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দূতাবাসের ঠিকানায় প্রেরণ করুন। ফেরত খামের উপর অবশ্যই আপনার ঠিকানা লিখে দিতে হবে। প্রয়োজনীয় ভিসা ফি এবং ডাকমাশুল বাবদ অতিরিক্ত ০৪ ইউরো পোস্টাল চেক এর মাধ্যমে দূতাবাসের ঠিকানায় পাঠাতে হবে। ভিসা প্রেসেসিং শেষে ডাকযোগে আপনাকে পাসপোর্ট প্রেরণ করা হবে। এছাড়াও আপনি ডাকযোগে কাগজপত্র পাঠিয়ে পরবর্তীতে সরাসরি দূতাবাস থেকে তা গ্রহণ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ফেরতখাম এবং ডাক মাশুল (০৪ ইউরো) পাঠাতে হবে না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ভিসা ফি পোস্টাল চেক এর মাধ্যমে দূতাবাসের ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
ঠিকানাঃ
Consular Section
Embassy of Bangladesh
Estr. Forte do Alto Duque LT - 1587, 1400-157 Lisbon