লিসবন, ০৮ আগস্ট ২০২১
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন যথাযথ মর্যাদায় আজ রবিবার, ০৮ আগস্ট ২০২১ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী পালন করে। কোভিড-১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে পর্তুগীজ সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ এবং শোকাবহ আগস্ট মাসের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা বজায় রেখে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হয়।
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কৃর্তক প্রদত্ত বাণী পাঠ করবার মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর জীবন ও কর্মের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বঙ্গমাতার গৌরবময় জীবন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর চিরস্মরণীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান তার বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতার সব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণা দানকারী এবং অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব সহযোগিতা করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে জাতির পিতাকে প্রায় ১৩ বছর কারাভ্যন্তরে থাকতে হয়, সে সময় বঙ্গমাতা সুচারূভাবে পরিবারের দেখাশুনার পাশাপাশি জাতির পিতার রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় সহযোগিতা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পত্নী হয়েও তিনি সবসময় সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সামাজিক পুনর্গঠন এবং অসংখ্য বীরাঙ্গনাদের স্বাভাবিক জীবনে পুনর্বাসনে বঙ্গমাতা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব সকল নারীদের নিরন্তর অনুপ্রেরণার উৎসই শুধু নন বরং তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির গর্ব।
আলোচনা সভাশেষে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব সহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
---------X---------