‘জাতির পিতার ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২’ উদযাপন

১৭ মার্চ ২০২২



যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস আজ (১৭ মার্চ ২০২২) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন করেছে।

এ উপলক্ষে ব্যানার, পোস্টার এবং ফেস্টুনের সমন্বয়ে দূতাবাসকে বর্নিল সাজে সজ্জিত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ রঙ্গিন পোষাকে এ আয়োজনে অংশগ্রহন করেন।

সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গনে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুল্লাহ আল রাজী দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন ।

পরবর্তীতে চ্যান্সারী প্রাঙ্গণে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং পর্তুগালে বসবাসরত সম্মানিত প্রবাসী বাংলাদেশীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। 

এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরনণর উপর গুরুত্বারোপ করেন। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুল্লাহ আল রাজী  তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং  জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সকল শিশু কিশোরের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বাঙ্গালির অধিকার আদায়ের আপসহীন সংগ্রামে আর বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের বিকাশে বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র সত্তাকে নিয়োজিত করেন। বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস একই সুত্রে গাথা। বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের অধিবাসী । তিনি আরও বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দূতাবাস পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহনে তিনটি পৃথক বয়সের ক্যাটাগরিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীর মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।      

এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের কামনায় মোনাজাত করা হয়।  অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণকে দেশীয় খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।


------X------


Download Pres Release