বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন-এর “বাংলা নববর্ষ ১৪৩১” উদযাপন

প্রেস রিলিজ


লিসবনরবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন আনন্দঘন পরিবেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে "পহেলা বৈশাখ" উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে বাঙালি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য দূতাবাস চত্বরকে বর্ণিল আলপনা (ঐতিহ্যবাহী দেয়াল চিত্র), মোটিফ, বেলুন, ফেস্টুন, পোস্টার, ফুল দিয়ে সাজানো হয় যা দূতাবাস প্রাঙ্গণকে এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত করে। প্রায় ২০০ প্রবাসী বাংলাদেশী, বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিক, স্বাগতিক দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, বিদেশী শিক্ষার্থী, মিডিয়া কর্মী, সাংবাদিক ও আমন্ত্রিত অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মিশনের সকল সদস্য এবং অংশগ্রহণকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঐতিহ্যবাহী রঙিন পোশাকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেন।

ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার  (নববর্ষ শান্তি র‌্যালি) মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। এতে প্রবাসী বাংলাদেশী এবং বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করেন। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সকলেই যুদ্ধ ও সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে তার শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। বক্তৃতায়, মান্যবর রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ এমন এক বর্ণাঢ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব যা দেশ-বিদেশে ব্যাপক উৎসাহ ও প্রাণবন্ত পরিবেশে উদযাপিত হয় তিনি আরও বলেন যে এটি বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস 'বৈশাখ'- এর প্রথম দিনটিকে নির্দেশ করে। এই দিনে বাঙালি পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। শ্রেণি-লিঙ্গ-ধর্ম নির্বিশেষে দিবসটি উদযাপিত হয়। পুরাতন বছরকে ভুলে গিয়ে পহেলা বৈশাখ নতুন দিবসের সূচনা করে। এই অসাম্প্রদায়িক উৎসব আমাদেরকে নতুন আশার আলোয় উজ্জীবিত করে। তিনি বিদেশে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন-এর চেতনা বহন করার এবং বিশেষভাবে দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার আহ্বান জানান। পরে রাষ্ট্রদূত ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বাংলায় ও নিজ ভাষায় ‘শুভ নববর্ষ’ বলার জন্য মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান।

অতঃপর উপস্থিত দর্শকবৃন্দ প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করে। প্রবাসী শিল্পীরা বেশ কিছু নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন । জমকালো নৃত্য ও সুমধুর গান দর্শকদের বিমোহিত করে। এছাড়াও, অনুষ্ঠানস্থলে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, হস্তশিল্প, জামদানী ও মনিপুরী শাড়ি এবং পান্তা-ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের বাংলাদেশী খাবারের স্টল স্থাপন করা হয়। এমন বর্ণাঢ্য উৎসব আয়োজনে বিদেশি অতিথি ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এবং নাচ, গান ও দেশীয় খাবার উপভোগের মধ্য দিয়ে পরিপূর্ণ একটি উৎসবমুখর দিন উদযাপন করে।